পুরো নাম মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন। সবাই তাকে নিজাম হিসেবেই চিনে। ইতোমধ্যে তিনি চরবাটায় একটি স্থানীয় মাদরাসার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একজন মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ। গুরুত্বপূর্ণ অনেক পরিচয়ে পরিচিতি তিনি। ২০ জানুয়ারি ১৯৮৫ খ্রি. নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলা তৎকালীন সদরের পূর্ব চরবাটা গ্রামের মোহাম্মদ আবুল কাসেম ও আরফোজের নেছার কোলজুড়ে আসে মানবিক গুণে গুণান্বিত মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন। ছোটবেলা থেকেই নিজাম অনেক মেধাবী, সৎচরিত্রবান ও ধার্মিক।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনাপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ২০০৬ সালে কামিল সম্পন্ন করেন। ছাত্রবস্থায় নিজাম এলাকার তরুণ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে নানান রকম উন্নয়নমূলক কার্যক্রম হাতে নেন। এলাকায় একজন সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ত্ববান ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে সুউচ্চতায় নিয়ে যান।
তারই ধারাবাহিকতায় মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন ২০০১ এবং ২০০২ সালে স্থানীয় ইকরা পাঠাগারের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে বিনোদপুরে সমাজ কল্যাণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন৷
কামিল পাস করার পর পরই মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন বাংলাবাজার দাখিল মাদরাসায় সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পাশাপাশি মিল্কভিটা স্থাপনে জোরালো ভূমিকা পালন এবং কৃষকদের নিয়ে একটি সমিতি গঠন করেন। স্থানীয় এলাকার দুস্থ ও অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে পূর্ব চরবাটা আহমদিয়া মাদরাসা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় স্থানীয় এলাকার মানুষদের মধ্যে একধরনের হতাশা কাজ করতো। স্থানীয় মানুষদের সহযোগিতা ও নিজামুদ্দিনের মহতী উদ্যোগের ফলে ২০০৮ সালে পুনরায় চালু করে এবং তা দাখিল শাখায় রূপান্তর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া ২০০৮ সালে লাইটহাউজ আইডিয়াল সোসাইটি ও ইকরা মডেল একাডেমি প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত।
তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত একটি জাতীয় মানবাধিকার সংস্থার উপজেলা কোষাধ্যক্ষ পদে দায়িত্বরত ছিলেন।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও উন্নয়ন এই স্লোগানে ২০০৯ সালে গঠন করা হয় “উত্তরণ” স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
যার কার্যক্রম দৈনিক সমকাল ও নোয়াখালী থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
২০১১ সালে ফাইন্যান্সিয়াল ইনভেষ্টমেন্ট সোসাইটি প্রতিষ্ঠা ও ২০১২ সালে প্রাক্তন ছাত্র ফোরাম চরবাটা ইসমাইলিয়া আলিম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন৷
বর্তমানে স্বতন্ত্র ইবতদায়ী মাদ্রাসাগুলোর সার্বিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মসজিদ, মক্তব, মাদ্রাসা, স্কুল,কলেজ সাংস্কৃতকি সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ অব্যাহত রেখে চলছেন ।