দেশে প্রতিদিনই লাগামহীনভাবে বাড়ছে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, দুধ, চিনি চাপাতা ও ভোজ্য তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য। কিছু কিছু দ্রব্যমূল্য দিনের ব্যবধানে হয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ। কিন্তু সবকিছুর দাম বাড়লেও আগের ৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে নোয়াখালী সুবর্ণচরের যোবায়ের বাজারে ঐতিহ্যবাহী এককাপ চা। সেই সাথে একটি সমুচা, একটি শিঙাড়া ও একটি চপের দামও পাঁচ টাকায় কোন কোন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। দামের ঊর্ধ্বগতির বাজারেও পূর্বের দামে এসকল আইটেম বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে এই বাজারের চা বিক্রেতারা। একইসঙ্গে দাম না বাড়লেও গুণগত মান ঠিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ক্রেতা জনসাধারণ।
মূলত বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে একধরনের প্রতিযোগিতা কাজ করছে। যার ফলে বাজারের অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও চায়ের দাম সেভাবে বাড়েনি৷
যোবায়ের বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবি ডিপার্টমেন্টের সত্ত্বাধিকারী মোঃ আল আমিন বাপ্পী অনলাইন নবশক্তিকে বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, দেশের যেখানেই আপনি যাবেন দেখবেন সবকিছুর দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। কিন্তু আমাদের যোবায়ের বাজারে এখনো ৫ টাকায় গরুর দুধের চা পাওয়া যায়। মানও তুলনামূলক ভালো। এই বিষয়টি অত্যান্ত প্রশংসনীয়। দেশের কোথাও ৪০-৫০ টাকার নিচে দাম দিয়ে এরকম খাবার পাওয়া যায় না।
স্থানীয় যোবায়ের বাজারের এক চা বিক্রেতা জানান, ৫ টাকায় এক কাপ চা স্থানীয় বাজারের ঐতিহ্য। আমরা সেটি ধরে রাখার চেষ্টা করছি। এগুলোতে খুব বেশি লাভ নাই। কোনো রকম চালিয়ে নিচ্ছি। এসব চায়ের দোকানের পাশাপাশি তুলনামূলক কম দামে শিঙাড়া, চপ, সমুচার পাশাপাশি ভাত, খিচুড়ি, পোলাও, মাংস, ডিম, পরোটা, প্যাটিস, কফি ও বিভিন্ন প্রকার কোল্ড ড্রিংকস পাওয়া যায়।
এদিকে, দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে চাল, ডাল, পেঁয়াজ ও ভোজ্য তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। বাজারে সব ধরনের চালের দামই গত কয়েক সপ্তাহে বেড়েছে। পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। এছাড়া মসুর ডাল, আদা, চিনি, ভোজ্য তেল-সব কিছুরই দাম ঊর্ধ্বমুখী। এমনকি সবজি, মুরগি এবং মুরগির ডিমের দামও বেড়েছে। অথচ এখনকার প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের দাম সেভাবে বাড়েনি৷ মূলত সীমিত লাভে সন্তুষ্ট এখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা৷