সোমবার (৯ জুন) গুলশানের নগর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যারা গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন, তারা দারোয়ানকে ফোন দিয়ে সপ্তাহে দুদিন বাসার বিভিন্ন জায়গা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করবেন। তা না হলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে।
মশা নিয়ন্ত্রণে এখন বাসার বিভিন্ন জায়গায় পানি জমাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
কোরবানির পর ঢাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে যায়, এখন ডেঙ্গুর প্রকোপও দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে উত্তর সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ডেঙ্গুর ক্যাম্পেইন ছাড়াও আপনারা যদি লক্ষ্য করেন দেখবেন, গত তিনদিন সকালে মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি বিকালেও মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। বৃষ্টি হয়েছে, দিনে দুবার ছিটানো হচ্ছে। আমরা আবার মাইকিং শুরু করে দেবো।
তিনি বলেন, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বৃষ্টি হলে বাসায় পানি জমবে। রাস্তায় আমরা দিচ্ছি। বাসায় যখন পানি জমবে, ফ্রিজের নিচে পানি জমবে, রান্না ঘরের বেসিং ও কেবিনেটের নিচে পানি জমবে, ছাদের ওপরে পানি জমবে, গ্যারেজে যে গাড়ি ধুয়েছেন সেখানে এখন গাড়ি না ধুলেও পানি জমে থাকবে দু-তিনদিন। আপনারা যারা দেশের বাড়ি চলে গেছেন, তারা ফোন দিয়ে বাসার দারোয়ানের মাধ্যমে বাসা সপ্তাহে দুদিন পরিষ্কার করাতে হবে। পানি যেন কোথাও জমা না থাকে। এটা পাবলিক ক্রাইসিস, সবার জন্য এটা (পরিস্থিতি) খারাপ অবস্থার দিকে যাবে।
এদিকে ডিএনসিসি এলাকায় পশু কোরবানির বিষয়ে তিনি বলেন, এবার উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া কোরবানি হয়েছে। কোনো উট কোরবানি হয়নি। সব মিলিয়ে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮০টি কোরবানি হয়েছে। এর মধ্যে গরু ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৭টি, ছাগল ১ লাখ ৫৪৬টি, মহিষ ১ হাজার ৭৬২টি এবং ভেড়া ৪ হাজার ৫৭টি কোরবানি হয়েছে।